হাসেম আলি ও ইসমাইল ২ ভাই। দুই পরিবারের বাসও একটা বাড়ির ব্যবধানে। ২ ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। স্থানীয়দের অভিযোগ পারিবারিক এই বিবাদে হাসেমের পরিবারকে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল ইসমাইল। সেই হুমকিই কী তবে পাশবিক বাস্তবে পরিণত হল? পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের আনন্দপুরে বৃহস্পতিবার রাতে হাসেমের স্ত্রী ফতেমা বিবি, ১৮ বছরের মেয়ে রেশমি ও ১৫ বছরের ছেলে রাজীবকে নিয়ে ঘরে ঘুমচ্ছিলেন। হাসেম কর্মসূত্রে বাইরে ছিলেন। অভিযোগ সেই সময়ে বাড়ির বাইরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে কেরোসিন ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ইসমাইল। বাইরে তালা থাকায় ঘর থেকে বার হতে না পেরে আগুনে ঝলসে যায় রেশমি ও রাজীব। তাদের বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যান মা ফতেমাও। ইসমাইল এতটাই পরিকল্পনা মাফিক এই কাণ্ড করে যে প্রতিবেশিরাও যাতে দাদার পরিবারকে বাঁচাতে না পারেন সেজন্য তাঁদের বাড়িতেও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয় সে। এই ঘটনায় ২ সন্তানের মৃত্যু হলেও মা ফতেমা বিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন। ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ প্রতিবেশিরা ইসমাইলের গোটা বাড়ি ভাঙচুর করেন। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটা পরিবারকে এভাবে পুড়িয়ে মারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ইসমাইল ও তার পরিবার।