
৩ মোর্চা সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতেই। এদিন এমনই দাবি করল মোর্চা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পুলিশের গুলিতে মোর্চার কারও প্রাণ যায়নি। বরং ১৯ জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এদিন সকাল থেকেই সিংমারিতে মারমুখী হয়ে ওঠেন মোর্চা সমর্থকেরা। পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ খণ্ডযুদ্ধ চলে। কিছুতেই সামনে এগোতে পারছিল না পুলিশ। অভিযোগ এই অবস্থায় মোর্চার দিক থেকে ইট-বোতলের সঙ্গে সঙ্গে গুলিও ছোঁড়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় পেট্রোল বোমাও। পরের পর দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন মোর্চা সমর্থকেরা। এমনকি অনেক জায়গায় পুলিশকে ঘিরে নিয়ে আক্রমণের ফলে পুলিশকে পিছু হঠতে হয়। তবে বিকেলের দিকে অবস্থা অনেকটা আয়ত্তে আনে পুলিশ ও আধাসেনা। সিংমারিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত চেহারার রাস্তা তখন পুলিশের দখলে। এদিকে পুলিশের গুলিতে তাদের ৩ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আগামী রবিবার ডুয়ার্স বন্ধের ডাক দিয়েছে মোর্চা। তবে পাহাড়ে আন্দোলনের মাত্রা যে আরও বাড়বে তার একটা ইঙ্গিত এদিন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং দিয়েছেন। এদিন ঘর ঘর থেকে পাহাড়বাসীকে বেরিয়ে এসে প্রশাসনের বিরোধিতা করার ডাক দিয়েছেন তিনি। পুলিশের গুলিতে তাঁদের সমর্থকদের মৃত্যু হয়েছে এই দাবি করে তাঁদের স্যালুটও জানিয়েছেন তিনি। এদিন কার্শিয়ংয়েও মোর্চা সমর্থকেরা মিছিল বার করেন। সেই মিছিলে বিজেপির পতাকা হাতে হাঁটতে দেখা গেছে বিজেপির হিল সেক্রেটারি সহ বিজেপি কর্মীদের। মোর্চার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তাঁদের মিছিলে যোগদান অন্য ইঙ্গিত বহন করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই ঘটনা বিজেপিকেও কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলল সন্দেহ নেই।