চেয়েছিল খুন করতে। কিন্তু সে ইচ্ছা পূর্ণ হলনা। রক্তাক্ত ও আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গেলেন প্রেমিকার স্বামী সহিদুল ইসলাম। আর তাকে যেতে হল শ্রীঘরে। তাও একা নয়, প্রেমিকা সমেত। মনুয়া কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের স্ত্রীর প্রেমিকের খুনের চেষ্টা। তবে এযাত্রায় বেঁচে গেছেন স্বামী।
স্থানীয় মানুষের দাবি, সহিদুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা বিবির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয় সালাউদ্দিন শেখ নামে এক যুবকের। গত একবছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে বাড়িতে কম অশান্তি হয়নি। সহিদুল ইসলামের সঙ্গে প্রবল ঝগড়া হওয়ায় একবার রহিমা বেশ কিছুদিনের জন্য বাপের বাড়িও চলে যায়। স্বামী হিসাবে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সহিদুল।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত শুক্রবার সালাউদ্দিনের পাত্রী দেখার জন্য সহিদুলকে রাজি করান রহিমা। সহিদুলও হয়তো ভেবেছিলেন বিয়ে হয়ে গেলে সালাউদ্দিনও রহিমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করবে। সহিদুল যেতে রাজি হন। অভিযোগ সাইকেলে যাওয়ার সময় বয়রা ছোট জাগুলিয়ার কাছে আচমকাই পিছনে বসা সালাউদ্দিন সহিদুলের পিঠে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান সহিদুল। সেই অবস্থায় সেখানে তাকে ফেলে চম্পট দেয় সালাউদ্দিন। পরে পুলিশ সহিদুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। রহিমা বিবি ও সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।