State

স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ স্বামীর

পাড়ায় সাহানা আর ছোটুর প্রেম কাহিনি কারও অজানা নয়। দুজনের মধ্যে গভীর প্রেম দুই বাড়ি মেনে নেয়নি। তাতে কী! মিঞা-বিবি রাজি যখন, তখন বাধা কোথায়? দুজনে ঠিক করে বাড়ি না চাইলেও তাদের প্রেমকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা থেকে কেউ তাঁদের দূরে রাখতে পারবে না। ২ জনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর বিয়ে। এরপর সময় যত গড়িয়েছে দুই বাড়িই মেনে নিয়েছে সবকিছু। সবঠিকঠাক চলছিল। বিয়ের পর বছর ঘুরতেই সাহানা খাতুন আর মহম্মদ ছোটুর ঘর আলো করে এল এক ফুটফুটে সন্তান। ব্যস এখানেই শেষ প্রেমের গাথা। প্রেমের সেই সমাপ্তি মাত্র এক বছরের মধ্যে কেড়ে নিল সাহানার প্রাণ। তাও যার তার হাতে নয়। ছোটুর দাবি গত বুধবার রাতে প্রেম করে বিয়ে করা সাহানাকে সে নিজেই বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে। হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ছোটু পুলিশের কাছে এদিন সকালে গিয়ে আত্মসমর্পণও করেছে। দেখিয়ে দিয়েছে গঙ্গার ধারে ফলের বাক্সে স্ত্রীর নিথর দেহ। পুলিশের কাছে ছোটু দাবি করেছে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সে মেনে নিতে পারেনি। তাই সাহানাকে নিজে হাতে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে সে। যদিও সাহানার পরিবার অন্য দাবি করছে। তাঁদের দাবি, গত এক বছর ধরেই বাপের বাড়ি থেকে পণ নিয়ে আসার জন্য সাহানার ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল তার স্বামী। অবশেষে পণেরই বলি হতে হল তাঁদের মেয়েকে।

 



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button