গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে মিছিল, মিটিং চললেও, শেষ কদিনে অশান্তি তেমন মাথাচাড়া দেয়নি। কিন্তু শনিবার ফের আগুন জ্বলল পাহাড়ে। জিএনএলএফ-এর এক কর্মীর গুলিতে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দার্জিলিংয়ের সোনাদা এলাকা। জিএনএলএফ ও মোর্চা সমর্থকদের দাবি, পুলিশের গুলিতেই প্রাণ গেছে ওই যুবকের। প্রতিবাদে এদিন মারমুখী জিএনএলএফ ও মোর্চা সমর্থকরা সোনাদা পুলিশে স্টেশন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই থানা লক্ষ্য করে শুরু হয় বৃষ্টির মত পাথর বর্ষণ। তারপরই থানার একাংশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে থানা। এরমধ্যেই কাছের একটি পুলিশ বুথেও আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে। শুরু হয় দুপক্ষে খণ্ডযুদ্ধ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের একটা দল সোনাদা স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেয়। গোটা স্টেশনটা জ্বলতে শুরু করে। অভিযোগ, দমকল কাছে থাকলেও দমকল কর্মীদের কাজ করতে এগোতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। ফলে আগুনে স্টেশনের অধিকাংশই পুড়ে যায়। প্রসঙ্গত টয় ট্রেনের জন্য তৈরি সোনাদা স্টেশনটি বিশ্ব হেরিটেজের তালিকাভুক্ত। স্টেশন সহ সংলগ্ন এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখ জুড়িয়ে দেয়। সেই স্টেশন এদিন বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এদিন চকবাজারেও ডিএসপি-র দফতর ও খাদ্য দফতরে ভাঙচুর চালান মোর্চা ও জিএনএলএফ সমর্থকেরা। দুপুর পর্যন্ত তাণ্ডব চালানোর পর অবশেষে পিছু হঠেন বিক্ষোভকারীরা। অবস্থা কিছুটা ঠান্ডা হয়।