জলপাইগুড়িতে এলআইসি কর্মী খুনে নয়া মোড়। মায়ের পর এবার মেয়েকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ মনে করছে মৃত উত্তম মহন্ত-র মেয়ে শ্বেতা মহন্তও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের সময় মাকে সাহায্যও করেছিল সে। কিন্তু আগে জিজ্ঞাসাবাদের সময় শ্বেতা দাবি করে সে ওই সময়ে বাড়ি ছিলনা। কিন্তু তা সত্য নয় বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকি বাড়িতে সেই সময় থাকাই নয়, খুনে মাকে সাহায্যও করে শ্বেতা। তাকে এদিন বিকেলে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আগামী শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে। উত্তম মহন্তকে আমরসে বিষ মিশিয়ে খুন করা হয়। খুনের পিছনে তাঁর স্ত্রী লিপিকা মহন্তের অবৈধ সম্পর্ক দায়ী বলে মনে করছে পুলিশ। লিপিকার সঙ্গে অনির্বাণ রায় নামে এক ব্যক্তির সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মাঝে বেশ কিছুদিন স্বামী পরিবার ছেড়ে লিপিকা ও অনির্বাণ জলপাইগুড়ির বাইরে একসঙ্গে কাটায়। পরে অনির্বাণকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই তোলে লিপিকা। সেখানেই আমরসে বিষ মিশিয়ে উত্তমবাবুকে অনির্বাণ খুন করে বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। গোটা ঘটনায় লিপিকা তাকে সাথ দেয়। ঘটনার পর পুলিশ লিপিকা মহন্তকে গ্রেফতার করে। তবে অনির্বাণ রায় পলাতক। এবার বাবার খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হল মেয়ে শ্বেতা।