পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে এবার সরাসরি অংশগ্রহণ করলেন পাহাড়ের সংস্কৃতি জগতের মানুষজন। এদিন দার্জিলিংয়ের রাস্তায় মিছিল করেন তাঁরা। নাচ-গান, নাটক, সিনেমা, সাহিত্য সহ বিভিন্ন জগতের মানুষজন মিছিলে পা মেলান। স্লোগান নয়, মিছিলে ছিল গানের সুর। তবে সে গান বাঁধা হয়েছে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে। পায়ে পায়ে রবিবারের সকালে মিছিল এগোয় গান-কবিতায়, হাততালিতে। এদিকে দার্জিলিং যেমন পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র, তেমনই হিমালয়ের অপার শোভার কোলে ছড়িয়ে থাকা প্রকৃতিরানি টেনে আনে সিনেমাওয়ালাদের।
ভারতীয় হোক বা বিশ্বের অন্যপ্রান্তের চলচ্চিত্রে বারবার দার্জিলিং সহ পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ ফুটে উঠেছে সেলুলয়েডের পর্দায়। চোখ জুড়িয়ে দিয়েছে দর্শকদের। ফলে এখানে বছরের একটা বড় অংশে শ্যুটিং লেগেই থাকে। তার জন্য আগাম বুকিংও করেন সিনেমা প্রস্তুতকারকরা। সুইৎজারল্যান্ড, কানাডার মত দেশের সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য আগাম বুকিংও ছিল এই সময়ে। কিন্তু গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনে সেসব শ্যুটিং এখন লাটে উঠেছে। বুকিং বাতিল হয়েছে। এমনকি পাহাড়ের কলাকুশলীরা গোর্খাল্যান্ডের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না গোর্খাল্যান্ড হচ্ছে ততদিন পাহাড়ে আর কোনও শ্যুটিং নয়। এদিকে প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে এদিন ২০১২ সালে রাজ্য সরকারের দেওয়া সঙ্গীত সম্মান পুরস্কার এদিন ফিরিয়ে দিয়েছেন পাহাড়ের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কুমার সুব্বা।