গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় পাহাড়। যার জেরে একটানা বন্ধ। সরকারি দফতর থেকে বাংলো সর্বত্র অগ্নিসংযোগ। মোর্চা সমর্থকদের তাণ্ডব। এটাই এখন পাহাড়ের চেনা ছবি। যার জেরে বেজায় সমস্যা পড়েছেন পাহাড়ের আমজনতা। বাড়িতে মজুত খাবার বাড়ন্ত। অথচ দোকানে গেলে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রি। এর মধ্যে পাহাড়ের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটাই কথা। মোর্চা নেতাদের ঘরে খাবারের অভাব নেই।
ঘুরপথে তাঁদের বাড়িতে মজুত রয়েছে প্রচুর খাবারদাবার। আর শুকিয়ে মরছেন পাহাড়বাসী! এতে যা হওয়ার তাই হচ্ছিল। শেষ কদিনে মোর্চার আন্দোলন থেকে দূরে সরার উপক্রম হয়েছিল পাহাড়ের আমজনতার। কিন্তু মানুষ পাশ থেকে সরে গেলে তো বিপদ। সেকথা বুঝতে সময় লাগেনি মোর্চা নেতৃত্বের। তাই পাহাড়ের আমজনতার ক্ষোভে জল ঢালতে এদিন দার্জিলিংয়ের চকবাজারে মোর্চার তরফ থেকে বিলি হল প্রচুর শাকসবজি। একটু শাক বা আনাজ হাতে পেতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সেখানে। একটুকরো আনাজ হাতে পেয়ে যুদ্ধজয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত মুখ নিয়ে বাড়িমুখো হয়েছেন পাহাড়ি জনতা। যদিও এতো ক্ষণিকের শান্তি। পাহাড়ে যেভাবে খাদ্য সংকট চরম আকার নিচ্ছে তাতে এভাবে কদ্দিন? প্রশ্ন তুলছেন খোদ পাহাড়বাসীদেরই একাংশ।