
উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কুলদি গ্রামে বাপের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর দেহ। গৃহবধূর বাড়ির লোকজন অশোকনগর থানায় পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের জন্য তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সূত্রের খবর, মুসিদা খাতুন নামে ওই গৃহবধূর স্বামী আবিদ হোসেন বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচার করত। সেই সঙ্গে আবিদের একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও অভিযোগ। সেই সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিলেন মুসিদা খাতুন। এ নিয়ে মীমাংসার জন্য গ্রামে একটি সালিশি সভাও বসেছিল। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
এদিকে শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক অত্যাচার সহ্য করে উঠতে পারেননি বছর ১৯-এর ওই গৃহবধূ। ইদের সময় বাপের বাড়ি চলে আসেন মুসিদা। কিন্তু সেখানেও রেহাই দেয়নি স্বামী। ফোনে তাঁকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মৃতার পরিবারের দাবি এভাবে দিনের পর দিন নানা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।