গুজরাট থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের চেহারা নিয়েছে। ফলে শেষ দুদিনের টানা বৃষ্টি তার প্রাবল্য বাড়িয়ে এখন অতিভারী বৃষ্টির চেহারা নিয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর এই নিম্নচাপ সক্রিয়। সঙ্গে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব তো রয়েইছে। ফলে জোড়া ফলায় আপাতত বিদ্ধ দক্ষিণবঙ্গবাসী। দক্ষিণবঙ্গের ৯টি জেলার অনেক জায়গা জলের তলায় চলে গেছে। ফুঁসছে অধিকাংশ নদী। এরমধ্যে অবস্থা আরও ঘোরাল করে তুলেছে ডিভিসির জল। ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি দামোদরের ওপর জলাধারগুলিতে জলস্তর বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত জল ছেড়ে দিতে হচ্ছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩৩ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। আরও জল ছাড়া হচ্ছে। বরাকর নদীর ওপর তৈরি মাইথন ড্যাম থেকে ২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সুবর্ণরেখা নদীর ওপর অবস্থিত গালুডিহি ড্যাম থেকে ১৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে সুবর্ণরেখা নদীতে জলস্ফীতির একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে দামোদরের ওপর অবস্থিত পাঞ্চেত জলাধার থেকেও ১৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে পুরুলিয়া, বীরভূম সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। আসানসোলে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রশাসন গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। চিন্তা আরও বাড়িয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। পূর্বাভাস বলছে এখনই নিস্তার নেই, বৃষ্টি আরও বাড়বে।