State

জল‌যন্ত্রণা অব্যাহত, পশ্চিমাঞ্চলের বেহাল দশা

গত সোমবার রাতে কলকাতা রেহাই পেলেও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে অঝোরে। ফলে জল আরও বেড়েছে বিভিন্ন নদীতে। যার প্রভাবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের অবস্থা শোচনীয়। বরং বৃষ্টি কমায় বীরভূমের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ময়ূরাক্ষী, বাহ্মণী, কুয়ে নদীর জলস্তর নামতে শুরু করেছে। ফলে অনেক জায়গা থেকে জল সরেছে।

বীরভূম বেঁচে গেলেও বাঁকুড়ার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বর নদীর জল বেড়ে বহু এলাকা জলমগ্ন। বাঁকুড়ার রতনপুর সেতুর একাংশ বসে গেছে। ফলে সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। অনেক বাড়ি জলে ধুয়ে গেছে। মানুষজন চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন। বাঁকুড়া শহরেও জল ঢুকেছে বিপ‌র্যস্ত জনজীবন।


পশ্চিম বর্ধমানে জল বেড়েছে গাড়ুই ও নুনিয়া নদীতে। তার জেরে আসানসোল, জামুরিয়া সহ আশপাশ জলের তলায়। ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গেছে। আসানসোলের অনেক এলাকা বানভাসি। বহু বাড়ির একতলায় জল ঢুকে গেছে। বহু মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় গলা অবধি জলে কাজ করে অনেককে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। আসানসোলে পাঁচিল ধসে এক মহিলার মৃত্যু খবর মিলেছে।

এদিকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়াতেও। পুরুলিয়ার বড় অংশ জলের তলায়। এদিন রঘুনাথপুরের কাছে অটোয় করে আসার সময় অটোর চাকা কাদায় বসে যায়। সেই চাকা তোলার সময় পাশের একটি পুরনো পাঁচিল ধসে আছড়ে পড়ে অটোর ওপর। ঘটনাস্থলেই ২ জনের মৃত্যু হয়। ৬ জন আহত। এঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


ঝাড়গ্রাম জেলার বড় অংশও জলের তলায়। গালুডিহি জলাধার থেকে জল ছাড়ায় সুবর্ণরেখা বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে ঝাড়গ্রামকেও। এছাড়া ডুলুং ও কংসাবতীর জল বেড়ে অবস্থা আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button