কয়েকদিন কিছুটা শান্ত থাকার পর ফের অগ্নিগর্ভ চেহারা নিল গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন। তবে এদিন পাহাড় নয়, আন্দোলন নেমে আসে সমতলে। সুকনায় এদিন সকালে কুকরি মিছিল বার করেন মোর্চা সমর্থকেরা। গন্তব্য ছিল দার্জিলিং মোড়। কিন্তু সেই অবধি যেতে দিলে অবস্থা জটিল আকার নিতে পারে বলে মনে করে পুলিশ সুকনা মোড়েই মিছিল আটকায়।
মিছিল আটকাতেই শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবর্ষণ। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে পুলিশ। লাঠি উঁচিয়ে মারমুখী মোর্চা সমর্থকদের দিকে তেড়েও যান পুলিশকর্মীরা। এরপরই মোর্চা সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল থেকে দফায় দফায় মোর্চা পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের পর দুপুরে অবস্থা কিছুটা শান্ত হলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি এদিন নাকি মোর্চা সমর্থকদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও খোদ মোর্চা নেতাদের কথা শুনতে চাননি মারমুখী সমর্থকেরা। তবে কি ক্রমশ নেতাদের সঙ্গে নিচুতলার সমর্থকদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে মোর্চার অন্দরেই? প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর গলাতেও শোনা গেছে একই কথা। অধীরবাবুর দাবি, পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন মোর্চা নেতাদের হাতের বাইরে চলে গেছে।