নিউ জলপাইগুড়িতে দরজা ভেঙে মা ও মেয়ের রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ২ জনকেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে তারা।
পুলিশ সূত্রের কবর, স্থানীয় ব্যবসায়ী অভিনন্দন সাহা স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রকে নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতেন। বুধবার মাঝরাতে আচমকা অভিনন্দনবাবুর চিৎকারে ঘুম ভেঙে ছুটে আসেন প্রতিবেশিরা। দেখা যায় অভিনন্দনবাবুর হাতে একটা চপার। গায়ে আঘাতের চিহ্ন। তিনি জানান বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। তবে তাঁর দেহের চোট ডাকাতদের থেকে নয়, আতঙ্কে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে চোট লেগেছে। হাতে থাকা চপারটাও ডাকাতদের বলেই দাবি করেন তিনি।
দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে অভিনন্দনবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁর শিশুপুত্র ভয়ে খাটের তলায় ঢুকে গিয়েছিল। তাই এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে সে।
তবে বেশ কিছু প্রশ্ন পুলিশের মনে জাগছে। ১, অভিনন্দন সাহার বাড়িতে ৫ লক্ষ টাকা ও প্রচুর সোনার গয়না দেখেছে পুলিশ। ডাকাতি করতে এসেও এসব না নিয়ে যারা কেবল ২ মহিলাকে কুপিয়ে চলে যায় তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। ২, অভিনন্দনবাবুর দাবি, ডাকাতরা বাথরুমের জানালার কাচ ভেঙে পালিয়েছে। কিন্তু সেই কাচ অক্ষত থাকায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টিকে নিছকই ডাকাতির ঘটনা বলে সরলীকৃত করতে রাজি নন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও।