
সিঁথির মিষ্টির দোকানের মালিক বুঝতেও পারেননি কখন ডাকাত এল, কখন জিনিস নিল, কখনই বা চলে গেল! তাঁদের ধারণা নিশ্চয়ই ডাকাতরা ঘুমের ওষুধ কিছু স্প্রে করেছিল। শুক্রবারের সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটেই ফের শনিবার একই কায়দায় ডাকাতির ঘটনা ঘটল সোদপুরের আমবাগান এলাকার এক অধ্যাপকের বাড়িতে। অধ্যাপকের বাড়ির সামনে ভোরবেলা স্থানীয়দের নজরে পড়ে বেশকিছু খালি গয়নার বাক্স পড়ে আছে। বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে থাকা বাক্স দেখে অবাক বাসিন্দারা বাড়ির বাসিন্দাদের ডেকে তোলেন। তাঁরা উঠে সব শুনেই বুঝতে পারেন সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। খোয়া গেছে সব গয়না, টাকাকড়ি। এই ঘটনাতেও অধ্যাপক বা তাঁর স্ত্রী কিছুই জানতে পারলেন না। এক্ষেত্রেও সেই একই কায়দায় তাহলে ডাকাতি? ঘুমের স্প্রে! পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরেও ঘটেছে আর এক দুঃসাহসিক ডাকাতি। এখানে অবশ্য কায়দাটা পুরনো। বাড়ির লোকজনকে ভয় দেখিয়ে আলমারি ভেঙে নগদ ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদল। পুলিশের অনুমান, বাড়ির পাঁচিল বেয়ে উঠে তারপর বাড়ির পাইপ বেয়ে ছাদে ওঠে ডাকাতদল। ছাদের দরজা ভেঙে ঢোকে ঘরে। তারপর লুঠ। এই ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়েছে।