দেহে রক্ত নেই। এখনই রক্ত দিতে হবে। বীরভূমের সদাইপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ বাগদিকে পরীক্ষার পর এমনই জানিয়েছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। কয়েক বোতল রক্তও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রায় রক্তশূন্য অবস্থায় মৃত্যু হয় অভিজিতের। কিন্তু কীভাবে এমন রক্তশূন্য হয়ে গেল অভিজিতের মত যুবকের দেহ? উত্তরটা শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন অনেকে।
আর কেউ নয়, অভিজিত বাগদির স্ত্রীই শুষে নিয়েছে স্বামীর রক্ত। হাড়হিম করা ভূতের গল্প মনে হলেও পাড়াপড়শি থেকে অভিজিতের মা সকলেই মেনে নিচ্ছেন অভিজিতের স্ত্রী সাবিত্রী বাগদি তন্ত্রসাধনা করে। অভিজিতের মায়ের দাবি, অমাবস্যার দিন উঠোনে ত্রিশূল পুঁতে স্বামীকে মাঝখানে শুইয়ে অন্ধকার রাতে তাঁর বুকে চড়ে বসে সাবিত্রী। তারপর স্বামীর ঠোঁট নিজের দাঁত দিয়ে খুবলে রক্ত শুষে নিতে থাকে।
তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধিলাভের আশায় স্বামীর শরীর থেকে এভাবেই নাকি রক্ত শুষে পান করত সাবিত্রী বাগদি। পাড়াপড়শিও তার ধারে ঘেঁষত না। তবে অভিজিতের মৃত্যুর পর পাড়ার সকলেই ক্ষুব্ধ। অভিযুক্ত সাবিত্রী বাগদিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে তার দাবি পরিবারের ভালর জন্যই এসব করেছে সে।