একটানা বৃষ্টি হয়েছে রাতভর। সকালেও রেহাই নেই। ভুটান ও ডুয়ার্স জুড়ে এই ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি রীতিমত জটিল আকার নিয়েছে আলিপুরদুয়ারে। প্রায় সব ওয়ার্ডেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলের তোড়ে ভেসে গেছে অনেক কাঁচা বাড়ি। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। জলের তলায় বাড়ির একতলা থেকে দোকানপাট। চরম দুর্ভোগের শিকার মানুষজন।
জলে নাজেহাল কোচবিহারও। এখানে বলরামপুর এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে লাল্টু রায় নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়িতেও পরিস্থিতি ঘোরাল আকার নিয়েছে। অবস্থা আরও ভয়ংকর করে তুলছে ফুঁসতে থাকা উত্তরের নদীগুলি। তিস্তা, রায়ঢাক, তোর্সা নদীর জল অনেক জায়গায় বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কুল ছাপিয়ে জল ঢুকছে লোকালয়ে। কয়েক জায়গায় হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির মালবাজার, গাজোলডোবা, ওলদাবাড়ি, বিন্নাগুড়ি কার্যত বানভাসি চেহারা নিয়েছে। বেশ কিছু চা বাগানও প্রবল বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন। দক্ষিণ চ্যাংমারিতে তিস্তার ভাঙন আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। বেশ কিছু ত্রাণ শিবির ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। দ্রুত বিভিন্ন জায়গা থেকে দুর্গত মানুষজনকে ত্রাণ শিবিরে তুলে আনার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমি অক্ষরেখা উত্তরে সক্রিয়। ফলে বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টি হবে। তবে তা মাঝারি ধরণের।
এদিন সকাল থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মুখ ভার। মাঝেমধ্যেই ঝিরঝির করে বৃষ্টি নামছে। ঘন মেঘে আকাশ ঢাকা। তবে শনিবাসরীয় সকাল হওয়ায় অনেকেরই ছুটি। তাই মেঘলা দিন বেশ উপভোগই করছেন তাঁরা।