টানা ২ দিনের বৃষ্টি। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভুটানে প্রবল বৃষ্টির জল নদীপথে উত্তরবঙ্গে হাজির হওয়া। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে ৮ জেলার মানুষ আপাতত বানভাসি। প্রচুর চাষের জমি জলের তলায় চলে গেছে। ক্ষতি হয়েছে বহু গবাদি পশুর। মানুষজনকে ত্রাণ শিবির তৈরি করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে গেছে প্রশাসন।
বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা, তোর্সা, মানসাই, রায়ঢাক। এই নদীগুলিতে বেশ কিছু জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে তিস্তা ভয়াল চেহারা নিয়েছে। আতান্তরে পড়েছেন তিস্তাপারের মানুষজন। তাঁদের দাবি, খাবার নেই, জল নেই। এই অবস্থায় রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। এঁদের ধীরে ধীরে ত্রাণ শিবিরে তুলে আনছে প্রশাসন।
ভয়ংকর চেহারা নিয়ে বইছে ঘীস নদীও। জলমগ্ন ধূপগুড়ি সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। কোচবিহারে তোর্সা ভয়ংকর চেহারা নিয়ে বইছে। বহু জায়গায় দুকুল ছাপিয়ে গেছে। জল ঢুকছে শহর, গ্রামে। স্থানীয় মানুষের দাবি, বর্ষায় তিস্তা চেহারা বদলায় ঠিকই, কিন্তু তিস্তাকে এত ভয়ংকর হতে তাঁরা আগে কখনও দেখেননি।
কোচবিহারের অনেক জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। তুলে আনা হচ্ছে দুর্গত মানুষদের। আলিপুরদুয়ারে গত শনিবার ভয়ংকর পরিস্থিতি থাকলেও রবিবার সকাল থেকে জল সামান্য হলেও নামতে শুরু করেছে। তবে এখানকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা এখনও দুর্বিষহ। জলের তলায় সব এলাকা। ঘরে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইলও কাজ করছে না অনেক জায়গায়। ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জল জমা নতুন নয়। কিন্তু রাস্তার পর রাস্তা এভাবে ভেনিসের চেহারা নেওয়ায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন অবস্থা নাকি তাঁরা এর আগে দেখেননি। কয়েকটি ওয়ার্ডে নৌকা নেমেছে। মানুষজনের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে অবস্থা জটিল করে তুলেছে।