উত্তরবঙ্গের বানভাসি ৮ জেলায় দুর্ভোগ অব্যাহত। মালদহের কালিয়াচক গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়েছে। গঙ্গার ভাঙনে বৈষ্ণবনগরের শোভাপুরেও বেশ কিছু বাড়ি গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙেছে মাটির চর। ফুলহার নদীর জলও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফুলহার ও গঙ্গায় লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ইংরেজবাজারের বেশ কিছু এলাকাতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। অবস্থা বিবেচনা করে জেলার প্রশাসনিক স্তরে ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে আত্রেয়ী নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। আত্রেয়ীর জলে গত রবিবার থেকেই বানভাসি বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকা। বানভাসি কুশমাণ্ডি, মালিগাঁও, বংশিহারি। বালুরঘাটে স্লুইস গেট বেঁকে গিয়ে লক গেট অকেজো হয়ে পড়েছে। লক গেট বন্ধ করতে না পারায় আত্রেয়ীর জল বিনা বাধায় হুহু করে শহরে ঢুকছে। যদিও সোমবার সকাল থেকেই জোরকদমে লকগেট সারানোর চেষ্টা শুরু হয়। এই জেলায় ৫০টি ত্রাণ শিবির খুলে দুর্গতদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। রায়গঞ্জের অনেক জায়গায় নৌকা চলছে। প্রবল সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন। কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে জল কিছুটা নামলেও অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। বৃষ্টি চলায় তিস্তা, তোর্সা, রায়ঢাক নদীর জল দুকুল ছাপিয়ে বইছে। যার জেরে এখনও জলমগ্ন বহু এলাকা। কোচবিহারে তোর্সা নদী এতটাই ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে যে স্থানীয় মানুষজনও মনে করতে পারছেন না তোর্সাকে এমন রূপে তাঁরা আদৌ কখনও দেখেছেন কিনা।
টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ধস নামা স্বাভাবিক পরিণতি। তাছাড়া পাহাড়ি রাস্তাও বৃষ্টির জেরে পিচ্ছিল হয়ে থাকে। ফলে বাড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। দার্জিলিংয়ে সেই ঘটনাই ঘটল। কালিম্পংয়ের রংডুং-এ পাহাড়ি বৃষ্টিভেজা রাস্তায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। গাড়িটি মালবাজার থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় ১ মহিলার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন চালক সহ গাড়ির ৩ আরোহী। মুর্শিদাবাদেও ফারাক্কার কাছে পাহাড়ি নদীতে স্রোত বেড়েছে। জল বইছে সড়কের ওপর দিয়ে।