বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু জল কমছে কই! বরং অনেক জায়গায় জল বেড়েছে! নতুন করে জল ঢুকছে বিভিন্ন এলাকায়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির অবস্থা এখন এমনই। মালদহের অনেক জায়গায় জল ঢুকে অবস্থা নতুন করে খারাপ করেছে। জেলার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বানভাসি হরিশ্চন্দ্রপুর। সঙ্গে গঙ্গার পার ভেঙে আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট, গঙ্গারামপুরের অবস্থাও ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। আত্রেয়ী নদী ফুঁসছে। শহরে জল ঢুকে অনেক এলাকা বানভাসি। আতান্তরে পড়েছেন মানুষজন। অনেক গ্রাম জলমগ্ন। বুনিয়াদপুরে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ২ ব্যক্তির। প্রচুর চাষজমি জলের তলায়। ক্ষতি হয়েছে বহু কৃষকের।
দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের অবস্থাও ভয়ংকর। অনেক জায়গা যেভাবে জলের তলায় চলে গেছে তাতে স্থানীয় মানুষ হতবাক। তাঁদের দাবি বৃষ্টি তো প্রতি বছরই হয়। কিন্তু এবার যে পরিস্থিতি তা আগে কখনও দেখেননি তাঁরা। রায়গঞ্জ শহর জলের তলায় চলে গেছে। স্থানীয় কুলিক নদীর বাঁধ ভেঙে অবস্থা আরও জটিল হয়েছে। প্রতিটি রাস্তা, গলি জলের তলায়। একতলা বাড়িগুলির অনেকটাই জলের তলায়। ডালখোলার অবস্থাও সুবিধের নয়। এখানেও জল ঢুকছে। ডালখোলার অনেক জায়গা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। ইটাহারে কালভার্ট ভেঙে আর এক বিপত্তি হয়েছে। কুলিক নদীর জল বিনা বাধায় হুহু করে শহরে ঢুকছে। ভেঙেছে কাপাসিয়া সেতুও। জলের তলায় করণদিঘিও। নৌকা ছাড়া গতি নেই। অধিকাংশ মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রাণ শিবিরই এখন বহু মানুষের পরিবার নিয়ে অস্থায়ী ঠিকানা।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জের অবস্থা এখনও জটিল। তবে কোচবিহারে জল নামতে শুরু করেছে। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া জলের তলায়। জলপাইগুড়ির অবস্থাও প্রায় একই রকম। জল তেমন একটা নামেনি। ফলে মানুষের উৎকণ্ঠাও কাটেনি। উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে না তো সড়ক পথে যোগাযোগ থাকছে। নাই ট্রেন রুটে। বাসও বন্ধ, ট্রেনও বন্ধ। এদিন উত্তরবঙ্গমুখী ২৮টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। জল না নামলে ট্রেন চালানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ।