৭টি পুরসভার নির্বাচনে বিরোধীদের কার্যত খুঁজেই পাওয়া গেলনা। কোথাও কোথাও একটা দুটো ওয়ার্ড বিরোধীরা দখল করতে পারলেও তা কার্যত হিসাবেই আসে না। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এরমধ্যেও ভাল ফাল করেছে বিজেপি। বামেদের পায়ের তলার মাটি আরও সরে গিয়েছে। খুঁজে পাওয়া যায়নি কংগ্রেসকেও। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার মাত্র একঘণ্টা পরই পরিস্কার হয়ে যায় সামগ্রিক চিত্র। তৃণমূল কংগ্রেস যে দাপট অক্ষুণ্ণ রাখতে পারছে সকাল ৯টার পরই জেনে যান রাজ্যবাসী।
দুর্গাপুর, হলদিয়া ও কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার সবকটি আসনই দখল করে ৩টি পুরসভাকে বিরোধীশূন্য করে দিয়েছে তৃণমূল। দুর্গাপুরে ৪৩টি, হলদিয়ায় ২৯টি ও কুপার্স ক্যাম্পের ১২টি আসনই দখল করেছে তৃণমূল। কংগ্রেস নেতা শঙ্কর সিংয়ের তৃণমূলে যোগদান যে কুপার্স ক্যাম্পে তৃণমূলের দুরন্ত ফলাফলের নেপথ্যে কাজ করে গেছে, একথা মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগ।
নলহাটিতে ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি জিতে পুরসভা দখল করেছে তৃণমূলই। এখানে ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছে ফরওয়ার্ড ব্লক ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। পাঁশকুড়া বিধানসভা নির্বাচনে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। ১টি দখল করেছে বিজেপি।
বানভাসি বুনিয়াদপুর পুরসভায় এবারই প্রথম নির্বাচন। অধিকাংশ জায়গায় নৌকায় পোলিং বুথে পৌঁছতে হয় ভোটারদের। এখানে ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিই জিতেছে তৃণমূল। তবে ১টি ওয়ার্ড জিতেছে বিজেপি। বিজেপি ভাল ফল করেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পুরসভাতেও। ধূপগুড়ির ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। ফলে পুরবোর্ড গড়ছে তৃণমূলই। তবে বাকি ৪টি ওয়ার্ড জিতেছে বিজেপি। এখানেও বিজেপির উত্থান কিন্তু শাসক দলকে চিন্তায় রাখল।
দুর্গাপুরেও বিরোধীদের হোয়াইটওয়াশ করে দিয়েছে তৃণমূল। জিতেছে সবকটি আসন। ফলে দুর্গাপুরেও বোর্ড গড়ছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত পুর নির্বাচনে কংগ্রেস, সিপিএম কেউই একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি। ১টি আসন জিতে বামেদের মুখ রেখেছে ফরওয়ার্ড ব্লক।