নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ১২টিই জিতেছে তৃণমূল। বিরোধী শূন্য বোর্ড গঠনে জোড়াফুলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ারই ছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে হালে তৃণমূলে নাম লেখানো কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা শঙ্কর সিং। সেই শঙ্কর সিংয়ের হাত ধরে নদিয়ার অনেক কংগ্রেস নেতানেত্রীর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুপ্রিয়া দে।
কুপার্স ক্যাম্পের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সুপ্রিয়া দে দাঁড়ানো মানেই ছিল জয়। এবার চেয়েছিলেন তৃণমূলের হয়ে দাঁড়াতে। কিন্তু শঙ্কর সিংয়ের ছত্রছায়ায় থাকা সত্ত্বেও তিনি টিকিট পাননি। ফলে ক্ষুব্ধ সুপ্রিয়া দে ভোটে দাঁড়ান নির্দল প্রার্থী হিসাবে। ভোটের দিন কিঞ্চিত অশান্তিতেও জড়িয়ে পড়েন। তারপরও তাঁর পকেট ওয়ার্ড থেকেই জিতবেন বলে নিশ্চিত ছিলেন।
এদিন ফলাফল বার হতে দেখা যায় মাত্র ৩০ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন সুপ্রিয়াদেবী। এই পরাজয় সহ্য করতে পারেননি নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়া সুপ্রিয়া দে। বাড়ি ফিরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।