প্রায় দুদিন হল বৃষ্টি পুরোপুরি বন্ধ। রোদও উঠতে শুরু করেছে আকাশ আলো করে। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি যে কে সেই। বরঞ্চ মালদহের বেশকিছু এলাকায় বানভাসি অবস্থার অবনতি হয়েছে। পুরনো মালদহ, চাঁচোল, ইংরেজবাজার, গাজোলের বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করছে। মহানন্দা ও গঙ্গার জল ক্রমাগত বেড়ে চলাই নতুন করে মালদহের বানভাসি অবস্থার অবনতির কারণ। এদিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কিছু অংশেও জল রাস্তার ওপর উঠে যায়।
অন্যদিকে কোচবিহার জেলায় জল নামলেও ও বানভাসি পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নতুন বিপদ এসে হাজির হয়েছে। নদীগুলিতে জল নামতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে নদীভাঙ্গন। তোর্সা, রায়ঢাক, মানসাই সহ জেলার প্রায় সবকটি নদীর পারই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। নদী তীরবর্তী মানুষজন ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক এখন। জল নামতে শুরু করেছে আত্রেয়ী, পুনর্ভবা, টাঙন নদীর। বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুরের বেশ কিছু এলাকা জলমুক্ত হয়েছে গত দুদিনে। বুনিয়াদপুর হয়ে পন্যপরিষেবা চালু হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওযায় বড় পণ্যবাহী গাড়িকে জাতীর সড়কের ওপরেই দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। এর ফলে জাতীয় সড়কে বিশাল গাড়ির লাইন স্থানীয় যানচলাচল ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।