গত বৃহস্পতিবার মোর্চা নেতা বিনয় তামাংয়ের বন্ধ প্রত্যাহারের ঘোষণার পর হাসি ফুটেছিল পাহাড়ের মানুষের মুখে। ১২ দিনের জন্য বন্ধ প্রত্যাহার হলেও দোকানপাট খুলবে, জিনিসপত্র মিলবে, গাড়িঘোড়া চলবে, জীবনে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরবে এই আশায় বুক বাঁধছিলেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধের পর বিমল গুরুং বন্ধ প্রত্যাহার হয়নি বলে ঘোষণার পর দোলাচলে ভুগছিলেন তাঁরা। আর সেই দোলাচল যে ভুল ছিল না তা পরিস্কার হয়ে গেল শুক্রবার সকালেই।
এদিন সকাল থেকে যেখানে পাহাড়ে স্বাভাবিক জনজীবন ফেরার কথা, সেখানে বন্ধের প্রকোপ যেন আরও বেড়েছে। পাহাড় জুড়ে দোকানপাট বন্ধ। যান চলাচল করছে না। মানুষ ঘর থেকেই বেশি বার হননি। শুনশান বিভিন্ন এলাকা। এরমধ্যেই কার্শিয়ংয়ে মোর্চার তরফে মিছিল বার করা হয়। স্লোগানে বিনয় তামাংয়ের বন্ধ প্রত্যাহারের বিরোধিতাও করা হয়। অবরোধ করা হয় পথ। রাতেই কার্শিয়ংয়ের হুইসলখোলায় বন্ধের সমর্থনে মিছিল করেন মোর্চা সমর্থকেরা। অভিযোগ সেই মিছিল থেকে এসডিপিও-র গাড়ি লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়। সেই ঘটনায় রাতেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে পাহাড় জুড়ে এদিন প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিনের বন্ধ প্রত্যাহারের ঘোষণা নেহাই ব্যর্থ প্রমাণিত হওয়ার পর ফের বিমল গুরুং-বিনয় তামাং লড়াই সামনে এসে পড়ল। গত বৃহস্পতিবার বন্ধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার পরই বিনয় তামাংকে দলের চিফ কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে সরিয়ে দেয় মোর্চা নেতৃত্ব। এদিন বিনয় তামাংয়ের বাড়িও ভাঙচুর হয়। সূত্রের খবর, বিনয় তামাংকে দল থেকেও সরানো নিয়ে বিবেচনা শুরু করেছেন বিমল গুরুংরা।