ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক তরুণী। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। স্থানীয় লোকজনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁকে পর্যবেক্ষণের মধ্যেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তরুণীর প্রেমিক ও তার ২ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে প্রেমিক সমরেশ বোসের সঙ্গে দেখা করেন ওই তরুণী। তারপর লিলুয়ার পেয়ারাবাগান এলাকায় সমরেশের বন্ধুর বাড়িতে হাজির হন তাঁরা। সেখানে সমরেশের দুই বন্ধু আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। তরুণীর অভিযোগ ওখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর থেকেই সমরেশ ও তার দুই বন্ধু মদ্যপান শুরু করে। দীর্ঘক্ষণ চলে এই মদ্যপানের আসর। এক সময়ে তরুণী জল চাইলে তাতে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তরুণী আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সমরেশ সহ তার দুই বন্ধু তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে ভয়ও দেখানো হয়। এই সময়ে তিন জনকে কোনওক্রমে সরিয়ে আর্তনাদ করতে করতে ছুটে বারান্দায় চলে আসেন ওই তরুণী। তাঁর বাঁচাও , বাঁচাও বলে চিৎকারে আশপাশের লোকজন বাড়ির দিকে এগিয়ে আসেন। কিন্তু কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আতঙ্কিত ওই তরুণী বারান্দা থেকে নিচে ঝাঁপ দেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা সমরেশ ও তার দুই বন্ধু ছোটন দত্ত ও ভোলা নায়েককে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।