জাহাজকর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ব্যারাকপুরে। একটি মেসের বাথরুমে পড়ে মাথায় আঘাত পাওয়া সুব্রত দাস নামে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান মেসের অন্য সদস্যরা। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করতেন তিনি। ফলে অনেক সময়েই জাহাজে কাটাতে হত।
নদিয়ার চাকদহের বাসিন্দা সুব্রত দাসের ফ্ল্যাট উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায়। সেখানেই তাঁর পরিবার রয়েছে। কিন্তু আমেরিকা থেকে ফিরে তিনি বাড়িতে না গিয়ে হাজির হন ব্যারাকপুরের ওই মেসে। তাও বাড়িকে অন্ধকারে রেখে। এটা পুলিশকে অবাক করছে। মেসের অন্য বোর্ডারদের দাবি, রাতে প্রচুর মদ্যপান করেন ওই ব্যক্তি। ফোনে কোনও মহিলার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তাঁর কথা হয় বলেও অনুমান বোর্ডারদের। কথোপকথন শুনে তাঁদের এমনই ধারণা হয়েছে।
এদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, এই ঘটনার পিছনে সুব্রত দাসের এক পরিচিত যুবকের হাত রয়েছে। ওই যুবকই ভোররাত পর্যন্ত তাঁকে মদ খাইয়ে খুন করে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির কাছে অনেক টাকা, ডলার ছিল। কিন্তু তাঁরা মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কোনও ডলার পাননি। ডলার হাতাতেই সুব্রত দাসকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। পুলিশে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।