বিয়ের মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল গৃহবধূর দেহ। শ্বশুরবাড়ির দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে সেকথা মানতে নারাজ মৃতার পরিবার। তাঁদের পাল্টা দাবি, তাঁদের মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই পণ সহ নানা কারণে শারীরিক নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারাই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে। শুক্রবার রাতে খবর জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মৃতার শ্বশুরবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। বাড়ি তছনছ করার পাশাপাশি তাদের ২টি গাড়ি, বাইক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে।
রাজেশ ঠাকুরের ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা। অবস্থাপন্ন পরিবার। এই পরিবারেই রাজেশের স্ত্রী হয়ে আসেন বৈশাখী ঠাকুর। মাত্র ৯ মাস আগে। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর ওপর নির্যাতন হত বলে দাবি করেছে মৃতার পরিবার। শুক্রবার ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বৈশাখী ঠাকুরের দেহ। পুলিশ তাঁর স্বামী রাজেশ ঠাকুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে।