জলপাইগুড়ির বাহাদুর এলাকা। এখানেই গত রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল সম্পাদক রতন সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফেসবুকের পাতাকেই সুইসাইড নোট হিসাবে ব্যবহার করেন রতন সরকার। লিখে যান অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন তিনি। কিসের অপমান?
স্থানীয় সূত্রের খবর, মহানবমীর দিন পাড়ারই মেয়ে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যান রতন সরকার। কিন্তু মেয়েটি কোনও কারণে ভয় পাওয়ায় তাকে বাড়িও ছেড়ে দিয়ে যান। মেয়েটি কোনও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেনি। কিন্তু দশমীর দিন থেকে আচমকাই গোটা এলাকায় রটে যায় রতন সরকার ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন। হুহু করে ছড়াতে থাকে গুজব। সেই গুজবই সম্ভবত মেনে নিতে পারেননি রতন সরকার। তাঁর পরিবারের অভিযোগক্রমে ওই ছাত্রীর বাবা সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শ্লীলতাহানির গুজব ছড়িয়ে রতন সরকারের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।