দেখা মাত্র গ্রেফতার করা হবে তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় সিকিমে লুকিয়ে থাকা মোর্চা নেতা বিমল গুরুং কয়েকবার পুলিশের হাত ফসকে অল্পের জন্য পালিয়েছেন। এরমধ্যেই পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে সিকিম সীমান্তে সিংলার জঙ্গলে গুরুং লুকিয়ে আছেন। খবর মেলা মাত্র পুলিশ অভিযানে নামে। অভিযোগ, পাতলেবাসের কাছে নিম্বু বস্তি এলাকায় পৌঁছতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় গুরুংপন্থীরা। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হন পুলিশের এসআই পদমর্যাদার অমিতাভ মালিক সহ আরও ২ পুলিশ কর্মী। দার্জিলিং থানার এসআই অমিতাভবাবুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, অন্য ২ পুলিশকর্মীর চিকিৎসা চলছে।
এদিকে পুলিশের পাল্টা গুলিতে তাদেরও এক কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মোর্চা। বিমল গুরুংকে ধরতে না পারলেও ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর বিস্ফোরক, একে-৪৭, পিস্তল সহ অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন নবান্নে এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা জানান, তাঁদের অনুমান বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে মাওবাদী সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সন্ত্রাসবাদীদের যোগাযোগ রয়েছে। বিমল গুরুংয়ের খোঁজও জোরকদমে শুরু করেছে পুলিশ।