আসানসোলের এইচএলজি হাসপাতালে ডায়ালিসিস চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আসানসোল উত্তর থানা এলাকার বাসিন্দা এক ৫০ বছরের মহিলাকে ডায়ালিসিসের জন্য এই হাসপাতালেই নিয়ে আসত পরিবার। অভিযোগ এদিনও তাঁর ডায়ালিসিস হচ্ছিল। সেই সময়ে অবস্থার অবনতি হওয়ায় টেকনিশিয়ানরা আরএমও-কে খবর দেন। অভিযোগ, খবর পাওয়া সত্ত্বেও আরএমও সময়মত আসেননি। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে টেবিলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের একাংশও অভিযোগ করেন সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করলে এমন অবস্থা নাও হতে পারত। এরপরই মৃতার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে। কিন্তু ততক্ষণে হাসপাতালের অনেক জিনিসপত্রই ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আরএমও।
প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে হাওড়াতেও। দক্ষিণ হাওয়ার বাসিন্দা এক মহিলাকে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে গত শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ রাতে মহিলার অবস্থার অবনতি হলেও সেদিকে নজর না দিয়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কর্তব্যরত নার্স। ফলে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে চড়াও হন মৃতার আত্মীয়রা।