পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের খাসতালুক পাতলেবাস। সেই পাতলেবাসের ৪টি বাড়ি ও ১টি বাড়ি সংলগ্ন রেশন দোকানে রাতের অন্ধকারে আগুন ধরিয়ে দিল কে বা কারা। শনিবার রাত ২টো নাগাদ আগুন লাগানো হয়। যে বাড়িগুলিতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে সেগুলি গুরুংপন্থীদের বাড়ি। যে রেশন দোকানে আগুন ধরানো হয় সেখান থেকে রবিবার সকালে রেশন বণ্টনের কথা ছিল। আগুনে বাড়ি ও রেশন দোকানের অনেকটাই পুড়ে গেছে। এদিন সকাল পর্যন্তও আগুন নেভানোর কাজ চলে। তবে যেসব বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা অনেকদিনই এখানে থাকতেন না। পাহাড়ে আন্দোলন জোরদার হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে তাঁদের বিশেষ আনাগোনা ছিলনা।
এদিকে আগুন কে বা কারা লাগাল তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। গুরুংপন্থীদের দাবি পুলিশই বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। যদিও পুলিশ সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পাল্টা পুলিশের দাবি, এই বাড়িগুলিতে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ মজুত ছিল। সেগুলি নিশ্চিহ্ন করতে গুরুংপন্থীরাই বাড়িগুলিতে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড় জুড়ে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।