৩ মাস আগের কথা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির কাছে একটি গ্রামে ঢোকার সময় বন দফতরের জালে ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ। তাকে বন্দি করার পর বন দফতরের আধিকারিকরা লক্ষ্য করেন বাঘটির সামনের পায়ে ক্ষত রয়েছে। বাঘের সঙ্গে অন্য বাঘের মারামারি নতুন নয়। এই ক্ষতের কারণও অন্য বাঘের সঙ্গে মারামারি বলেই মনে করেন আধিকারিকরা। তাই সেসময়ে বাঘটিকে গভীর অরণ্যে না ছেড়ে তার চিকিৎসা শুরু হয় ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে। তার চোট সম্পূর্ণ নিরাময়ের পর এদিন বাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল।
আজমলমারি জঙ্গলে এদিন বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নদীর ধারের বালিয়াড়িতে তাকে মুক্তি দিতেই বাঘটি প্রবল গতিতে দূরের জঙ্গলের দিকে ছুটতে শুরু করে। মুক্তির স্বাদ তার ছোটা থেকেই ছিল পরিস্কার। কিছুক্ষণের মধ্যেই একই গতিতে বাঘটি গহন অরণ্যে হারিয়ে যায়।