হুগলির উত্তরপাড়ায় বাপের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বছর ২৯-এর গৃহবধূ পারমিতা বক্সির ঝুলন্ত দেহ। পারমিতার একটি ডায়েরিও উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা নিজের ডায়েরিতে লিখে গেছেন পারমিতা।
তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনদের দাবি, পুনেতে চাকরি করতেন পারমিতা। কিন্তু চাকরি ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে স্বামীর কাছে চলে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল শ্বশুরবাড়ির। শ্বশুরবাড়ির তরফে স্বামীর কাছে যেতে পারমিতা বক্সিকে বাধাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তাও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যান স্ত্রী।
অবশেষে পুনে থেকে চাকরি ছেড়ে উত্তরপাড়ার বাড়িতেই ফিরে আসেন পারমিতা। তারপর রবিবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক পারমিতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
পারমিতার পরিবারের তরফে স্বামী কৌস্তুভ বক্সি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতার মা বনানীদেবী জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুন মাসে হাওড়ার বালির বাসিন্দা কৌস্তুভের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই চলত মানসিক অত্যাচার। মেয়ের মাইনের টাকা পাঠাতে হত শ্বশুরবাড়িতে।
নিজের ডায়েরিতে পারমিতা লিখেছেন যে তাঁর বাঁচার ইচ্ছা চলে গেছে। স্বামী, শ্বশুরবাড়ি তাঁর কাছ থেকে মুক্তি চেয়েছিল। তাই তিনি তাদের মুক্তি দিলেন। তবে সেই মুক্তি ডিভোর্স দিয়ে হল না। হল প্রাণ দিয়ে।