সোমবার রাত ৮টা। বাড়ির জামাই আজিজুল মোল্লা বাইরে থেকে ঘরে ফিরে দেখেন চারদিক অন্ধকার, লণ্ডভণ্ড। বারান্দায় চাপ চাপ রক্তের দাগ। দূর থেকে ভেসে আসে নারীকণ্ঠে গোঙানির শব্দ। সেই শব্দ ধরে এগিয়ে স্ত্রী মুরশিদাকে প্রায় অচেতন অবস্থায় পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করেন তিনি। এদিকে ঘরে রক্তের দাগ ধরে এগিয়ে পাশের পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয় ষাটোর্ধ সায়রা বেগমের নিথর দেহ। মাথায় একাধিক গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল তাঁর। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের চক্রবর্তী আবাদ এলাকায়। ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যায়নি মুরশিদার ২০ দিনের ছোট্ট মেয়েরও। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওই পানাপুকুরের ধার থেকেই উদ্ধার হয় সদ্যোজাতের দেহটি।
পানাপুকুরের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি শাবল। বাড়ির ভিতর খুঁজে পাওয়া গেছে একটি ব্যবহৃত কন্ডোম। মৃতার জামাই আজিজুল মোল্লাকে জেরা করে তাঁর বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। দফায় দফায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন মুরশিদাও। বিপর্যস্ত মুরশিদা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতরাতে ঠিক কি কি ঘটেছিল তার একমাত্র সাক্ষী মুরশিদা। তাই একটু স্বাভাবিক হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।