মানসিক অবসাদ তো ছিলই। কিন্তু তার কারণ ছিল প্রেম। প্রেমিকার বাড়ি থেকে বারবার আসছিল বিয়ের জন্য চাপ। কিন্তু নিজের কোনও উপার্জন ছিল না দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির সুরজিত সরকারের। প্রেমিকা অন্য কারও হয়ে যাবে এটাও মানতে পারেনি সে। তাই শেষ অব্ধি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পথ বেছে নেয় সুরজিত।
এই বছর অগাস্ট মাসে বুনিয়াদপুর কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়। মারধর করা হয় তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক সুরজিতকে। তাই আত্মহত্যার জন্য তাঁর পরিবার অভিযোগের আঙুল তোলে বিরোধীপক্ষের দিকে। কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। কিন্তু পুলিশি তদন্তে উঠে আসে প্রেমিকার সঙ্গে সুরজিতের মনোমালিন্যের বিষয়টি। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিকার মা-বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা।