হুগলির উত্তরপাড়ায় গৃহবধূ পারমিতা বক্সির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্তরা। পারমিতাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামলেন পারমিতার বন্ধুরা। রবিবার সকালে কয়েক দফা দাবিসহ তাঁরা উত্তরপাড়া থানায় গণস্বাক্ষর করা স্মারকলিপি জমা দেন।
গত ২৭ অক্টোবর উত্তরপাড়ার মাখলায় নিজের ফ্ল্যাটে দড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় বছর ২৯-এর পারমিতার দেহ পাওয়া যায়। তাঁর লেখা ডায়েরিতে পাওয়া যায় শ্বশুরবাড়ির অকথ্য অত্যাচারের বর্ণনা। সেখানে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নেওয়ার জন্য স্বামীকেই দায়ী করেছিলেন পারমিতা। অভিযোগ, পারমিতার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পারমিতার উপার্জিত অর্থ জোর করে নিয়ে নিতেন। মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি মৃতাকে স্বামীর কাছে যেতেও বাধা দেওয়া হত। ঘটনার পর পারমিতার স্বামী কৌস্তভ এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পারমিতার বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পারমিতার স্কুলের সহপাঠী রাজেশ্বরী গঙ্গোপাধ্যায়, জয়তী পালদের দাবি, সমাজে বধূহত্যা, পণপ্রথা, গার্হস্থ্য হিংসার মতো মেয়েদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পারমিতার ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে সেই ছবিটাই আরেকবার দেখিয়ে দিল। এর বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। চন্দননগর কমিশনারেটের তরফে তাঁদের আশ্বাস দিয়ে জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।