
রাজ্যে অব্যাহত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস। বারুইপুরের নবগ্রামে দুই সিপিএম কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি বাড়িই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তাদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপির এক পোলিং এজেন্টের বাড়িতে হামলার ঘটনায়ও আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ শুক্রবার রাতে সাহেব দাস নামে ওই বিজেপি এজেন্টের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। সাহেবকে বাড়িতে না পেয়ে তার বাবা ও দাদাকে বেধড়ক মারধর করে তারা। ভয় দেখাতে শূন্যে গুলিও চালান হয়। পরিবারের অভিযোগ সেখানেই শেষ নয়। সাহেব বিজেপি এজেন্ট হওয়ার জরিমানা হিসাবে ১০ লক্ষ টাকা পরিবারের কাছে চেয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। নন্দীগ্রাম থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। যদিও তৃণমূলের তরফে সম্পূর্ণ অভিযোগই মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। এদিন হুগলির রিষড়ায় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় অভিযোগের তির সিপিএমের দিকে। যদিও সিপিএমের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই বোমাবাজি। ব্যারাকপুরেও এদিন একটি বাড়ির সামনে বোমা পড়ে। বোমার তীব্রতায় জানলার কাচ ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। যদিও তাদের সঙ্গে কোনও দলের যোগাযোগ নেই বলেই জানিয়েছে আক্রান্ত গোস্বামী পরিবার। কেন তাদের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল তাও ঠাওর করতে পারছেন না তাঁরা।