দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকায় বৃদ্ধকে খুনের ঘটনায় আটক করা হল ৩ জনকে। তাদের একজন মৃত সত্যরঞ্জন খাঁড়ার ছেলে সুমিত খাঁড়া। বাকি ২ জনের মধ্যে একজন সত্যরঞ্জনবাবুর পরিচারিকা সুচরিতা মণ্ডল। অন্য জন তাঁর প্রতিবেশি অভিনন্দন ঠাকুর নামে এক যুবক। পুলিশের দাবি, আটক ৩ জন সত্যরঞ্জনবাবুকে খুনের ঘটনার মূল চক্রী। তবে, খুনের ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। তাই আটকদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে খুনের কিনারা করতে চাইছে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের অভিজাত এলাকায় নিজের বাসভবন থেকে উদ্ধার হয় সত্তরোর্ধ্ব সত্যরঞ্জন খাঁড়ার রক্তাক্ত দেহ। বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। ঘরের আলমারি লণ্ডভণ্ড থাকায় প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয় লুঠের উদ্দেশ্যেই বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বৃদ্ধের ছেলে বেপাত্তা হয়ে যায়। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। বৃদ্ধের বাড়ি অবনীন্দ্র বীথির সামনে থাকা সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে সন্দেহভাজনদের আটক করে পুলিশ।