
আবদার ছিল একটা স্মার্টফোনের। মডেলও দেখে রেখেছিল। দাম ১০ হাজার টাকা। বাবা-মাকে সবই জানিয়েছিল সে। আবদার করে বলেছিল ওই স্মার্টফোনটাই তার চাই। কিন্তু হয়তো ভেবে দেখেনি বাবার আর্থিক ক্ষমতায় সেই আবদার কতটা বাস্তব। অন্যদিকে পেশায় রংমিস্ত্রি বাবা চাইলেও তখনই অত দাম দিয়ে স্মার্টফোন কিনে দিতে পারেননি। তখনই ছেলের আবদার রক্ষা অসম্ভব ঠেকেছিল তাঁর। সেই অক্ষমতা যে এমন দিনের সামনে তাঁদের দাঁড় করাতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি দরিদ্র বাবা-মা।
গত রবিবার তাঁরা দুজনে একটু বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল ছেলে রাহুল সর্দার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের গোবিন্দপুরের বাড়িতে রাতে ফিরে আঁতকে ওঠেন বাবা-মা। দেখেন ঘরের মধ্যে ঝুলছে ছেলের নিথর দেহ। স্মার্টফোনের শোকেই ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।