দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন হুগলির ভদ্রেশ্বরের তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়। এলাকায় জনপ্রিয় নেতা হিসাবে পরিচিতি ছিল মনোজবাবুর। এখনও অনেকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না তিনি মারা গেছেন। এদিন তাঁর দেহ নিয়ে শোকমিছিলে বহু মানুষ পা মেলান।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবে সময় কাটিয়ে এক অনুগামীর বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন মনোজ উপাধ্যায়। রাস্তায় তাঁদের পথ আটকায় কয়েকজন। কথা বলতে চায় মনোজবাবুর সঙ্গে। স্বভাবতই বাইক থেকে নেমে এগিয়ে যান মনোজবাবু। কিন্তু যাওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় দুষ্কৃতীদের। বেগতিক বুঝে লোকজনকে ডাকতে তাঁর অনুগামী ছুট লাগান। কিন্তু সকলকে নিয়ে যতক্ষণে আসেন, ততক্ষণে সব শেষ। অভিযোগ মনোজবাবুর পেটে ও বুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। দ্রুত তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মনোজবাবুর খুনের জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন ভদ্রেশ্বরের পুর চেয়ারম্যান। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই খুন। ঘটনায় বুধবার বেলার দিকে মুন্না রায় নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুন্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খুনের আগে যারা মনোজবাবুর বাইক আটকায় তাদের মধ্যে অন্যতম এই মুন্না। স্থানীয় বাসিন্দা মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আততায়ীদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।