হুগলির উত্তরপাড়ার পারমিতার পর এবার গড়িয়ার অনন্যা সাঁই। উপার্জন না করায় স্বামীর মানসিক নির্যাতনের কারণে পারমিতার মত আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন গড়িয়ার সদ্য বিবাহিতা গৃহবধূ। শুক্রবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ গড়িয়ার সারদা পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অনন্যার ঝুলন্ত দেহ। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অনন্যার স্বামী অর্ণব সাঁইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলতি বছরের মার্চ মাসে ২৭ বছরের অনন্যার সঙ্গে বিয়ে হয় গড়িয়ানিবাসী অর্ণবের।
মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই চাকরি করার জন্য অনন্যার উপর মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য অনন্যাকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে স্বামী অর্ণব। নিজের মাকে সে কথা জানিয়েও ছিলেন অনন্যা। তাঁর দেহের পাশ থেকে ডায়েরির পাতা ছিঁড়ে লেখা একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সুইসাইড নোটে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ইঙ্গিত স্পষ্ট। অর্ণবের সঙ্গে তাঁর স্বাভাবিক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল না বলে জানিয়েছেন অনন্যা। চাকরি করতে নিজের অনিচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকে তাঁর উপর নির্যাতনের পরিমাণ মাত্রাছাড়া আকার নেয়। উপার্জন না করলে কোনওদিন তিনি মা হতে পারবেন না বলে অনন্যাকে হুমকি দিত অর্ণব। অর্ণবের সঙ্গে তাঁর কোনও শারীরিক সম্পর্কও ছিলনা বলে মাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন অনন্যা। এসব সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন অনন্যা সাঁই। মৃতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অর্ণবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে অনন্যার পরিবার।