তীব্র জলসঙ্কটের মুখে দুর্গাপুরবাসী। দুর্গাপুর বাঁধের লকগেট ভেঙ্গে পড়ায় কার্যত মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে শিল্পতালুক। শুক্রবার বিকেলে দামোদর নদের উপর দুর্গাপুর ব্যারেজের এক নম্বর লকগেট আচমকা ভেঙ্গে পড়ে। গেটের লোহার পাত বেঁকে যাওয়ায় নদীর জল দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যেতে থাকে। সেচ দফতর ও পুরসভার উদ্যোগে রাতভর বালির বাঁধ দিয়ে দামোদরের জল আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালান ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। বালির বাঁধ আটকাতে পারেনি নদীর প্রবল স্রোতকে। রাতের অন্ধকারে মেরামতির কাজ ঠিকভাবে করা সম্ভবও হয়নি। ফলে দিনের আলো ফুটতেই জলশূন্য অবস্থায় দেখা গেল ‘বর্ধমানের দুঃখ’ দামোদরকে। যেদিকে চোখ যায় শুধু বালি আর বালি। দামোদরকে দূর থেকে দেখে সমুদ্রতট বলে ভ্রম হচ্ছে এখন।
এদিকে দুর্গাপুর ও তার সংলগ্ন উপনগরীর আবাসনগুলিতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। দামোদর জলশূন্য হয়ে পড়ায় শনিবার সকাল থেকে জল ছাড়াই এলাকাবাসীকে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। দামোদরের জলকে কাজে লাগিয়েই শিল্পনগরীর বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। ফলে খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ সঙ্কটও দেখা দেবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। যার প্রভাব পড়বে দুর্গাপুর ও আশপাশের অঞ্চলের কলকারখানার উৎপাদনেও। সেচ দফতর সূত্রের খবর আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সেচমন্ত্রী।