জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকার বাসিন্দা মইনুল হকের সঙ্গে কিছুদিন আগে পরিচয় হয় রাজকুমার মণ্ডলের। অল্পদিনের মধ্যেই পেশায় আচার বিক্রেতা রাজকুমার মইনুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। প্রায়ই মইনুলকে রাজকুমার তার মালদহের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলত। বন্ধুর আবেদনে সাড়া দিয়ে মালদহে যেতে রাজিও হয়ে যান মইনুল। আর সেই বন্ধুর হাতেই অপহৃত হতে হল তাঁকে। পরে কোনওক্রমে অপহরণের ফাঁস থেকে পালিয়ে আসেন মইনুল। দেরি না করে সোজা পরিবারকে নিয়ে জলপাইগুড়ি থানায় উপস্থিত হন তিনি। পুলিশকে অপহরণের কাহিনি পুরোটা খুলে বলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে বন্ধু রাজকুমারের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে মইনুল হক তাঁর ভাই মীরাকেল হক সরকারকে নিয়ে মালদহের উদ্দেশে রওনা হন। রাজকুমার মাঝপথে তাঁদের ফারাক্কায় নেমে যেতে বলে। ফারাক্কা স্টেশন থেকে রাজকুমার তাঁদের দুজনকে বৈষ্ণবনগরে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেটা যে রাজকুমার ও তার সঙ্গীদের গোপন ডেরা ছিল তা তখনও টের পাননি মইনুল ও তাঁর ভাই। বাড়িতে পৌঁছতেই রাজকুমার ও তার আরেক শাগরেদ মইনুলদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল, টাকার ব্যাগ, আধার কার্ড, এটিএম কার্ড সব কেড়ে নেয়। এরপর দুই ভাইকে গোপন ডেরায় আটকে রাখা হয় মুক্তিপণ চাওয়ার উদ্দেশ্যে। মইনুলের পরিবারকে ফোন করে ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চায় রাজকুমার। গত ২৪ নভেম্বর কোনোক্রমে মইনুল সেই ডেরা থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। মইনুলের অভিযোগ পেয়ে রাজকুমারের গোপন ডেরায় হানা দেয় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ। সোমবার সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় মইনুলের ভাইকে। পলাতক অভিযুক্ত রাজকুমার ও তার সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।