জলই জীবন। জল ছাড়া এক মুহুর্ত কাটানো সম্ভব নয়। কিন্তু মাঝখানে ৪টে দিন পেরিয়ে গেলেও জলসঙ্কটের ভোগান্তি কাটেনি দুর্গাপুরবাসীর। সমস্যা এতটাই তীব্র যে জলের অভাবে দুর্গাপুরের অরবিন্দ বিদ্যামন্দির ও স্টিল কারমেল স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জল অমিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে বেশ কিছু হাসপাতালও। পুরসভার তরফ থেকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো জলের ট্যাঙ্কারের দখল নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে একদফা বচসাও হয়ে যায়। জলের অভাব না মিটলে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে বলে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে জলশূন্য দুর্গাপুরে জলের হাহাকার তীব্র হয়ে উঠেছে।
সমস্যার সূত্রপাত গত ২৪ নভেম্বর, শুক্রবার। এদিন বিকেলে আচমকাই ভেঙ্গে পড়ে দামোদরের উপর গড়ে ওঠা দুর্গাপুর বাঁধের এক নম্বর লকগেট। বালির বাঁধও আটকাতে পারেনি ব্যারেজে সংরক্ষিত জলের স্রোতকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধূ ধূ বালির চরে পরিণত হয় দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধার। মেরামতির পাশাপাশি শহরে পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহের ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। কিন্তু তাতে ইস্পাতনগরীর মানুষের জলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বাঁধ সারিয়ে ফিডার ক্যানেলে পর্যাপ্ত জল ওঠায় পাম্প করে জল তোলার কাজও শুরু হয়ে গেছে। এতকিছুর পরও শহরাঞ্চলে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ঠিক কখন থেকে শিল্পাঞ্চলে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে সে ব্যাপারে কোনও আশার আলো দেখাতে পারছে না সেচ দফতর।