পণের দাবি না মেটানোয় খুন হতে হল জয়নগরের বামনগাছি এলাকার এক গৃহবধূকে। মৃত বধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকা চেয়ে তাঁদের মেয়েকে মারধর করত মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে বাড়ির অমতে প্রেমিকা সুজাতা মণ্ডলকে বিয়ে করে জয়নগরের ছেলে পেশায় দিনমজুর পিন্টু মণ্ডল। পিন্টুর মা এই বিয়ে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। এই কারণে বিয়ের পর থেকে বেশ কিছু বছর সুজাতাকে নিয়ে তার বাপের বাড়িতেই থাকত পিন্টু। পরে শ্বশুরবাড়িতে পা দিতেই পণের দাবিতে সুজাতার উপর তার শাশুড়ি লাগাতার মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
গত সোমবার প্রতিবেশিদের থেকে মেয়ের বিপদের কথা শুনে দ্রুত সুজাতার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পৌঁছন বাপের বাড়ির লোকেরা। গিয়ে বিছানার উপর মেয়ের নিথর দেহ পরে থাকতে দেখেন তারা। গলায় কালশিটে দাগ দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। মেয়েকে খুন করা হয়েছে সন্দেহে অভিযোগ দায়ের করা হয় জয়নগর থানায়। যদিও মৃত গৃহবধূর পরিবারের দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী পিন্টু মণ্ডল পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।