স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল রোজনামচা। স্ত্রীকে মারধর, লাঞ্ছনা হয়ে উঠেছিল দৈনন্দিন বিষয়। সেই অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় মেয়ে। ঘটনাক্রমে হাজতে রাত্রিবাস। আর রাত ফুরলে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করলেন প্রৌঢ়।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের মতিলাল রায়ের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় শেফালি রায়ের। বিয়ের পর থেকে কোনওদিনই সংসারে শান্তি আসেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। মৌখিক বচসার সঙ্গে স্ত্রী শেফালিকে মারধর ও নানা রকমের অত্যাচার মতিলাল রায়ের নিত্যদিনের ব্যাপার ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গত শনিবার ফের শুরু হয় স্ত্রীকে মারধর, অত্যাচার। অশান্তি সীমা ছাড়ালে আর সহ্য করতে না পেরে বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় মতিলাল-শেফালির মেয়ে নমিতা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আটক করে মতিলাল রায়কে। পরে মতিলালের পরিবার অভিযোগ ফেরত নেওয়ায় এক রাত হাজতে থাকার পর ছেড়ে দেওয়া হয় মতিলালকে। বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
মতিলাল রায়ের দাদা শান্তিলাল রায়ের অভিযোগ, থানা থেকে ফেরার পর থেকেই মনমরা হয়ে পড়েছিলেন মতিলাল। সোমবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শান্তিলালবাবুর অভিযোগ, থানায় রাত কাটানোর অপমান তাঁর ভাই সহ্য করতে পারেননি। সেই অপমানেই মতিলাল আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ শান্তিলাল রায়ের।