
ডায়মন্ডহারবারে ছাত্রকে পিটিয়ে খুনে মূল অভিযুক্ত তাপস মল্লিককে এদিন ডায়মন্ডহারবার আদালতে তোলা হলে আদালত তার ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এদিন আদালতে তাপস ও তার সঙ্গী বিল্লু ঘোড়ুইয়ের হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ে তাপস মল্লিক। ঘটনার ৩ দিন পর তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছি থেকে তাকে এক সঙ্গীসহ গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর দিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে পালায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস মল্লিক। ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে পুলিশ গ্রাম থেকেই ধরতে সমর্থ হলেও গরু খোঁজা খুঁজেও তাপসের নাগাল পাচ্ছিল না তারা। বাড়ি থেকে পালিয়ে দত্তপুকুরের কংসবণিক পাড়ায় এক পরিচিতের বাড়িতে আত্মগোপন করে সে। বন্ধ করে দেয় মোবাইল। যদিও নিজের সিম ব্যবহার না করলেও তাপস অন্য একটি সিম ব্যবহার করে পরিবার, আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাই পুলিশ তার পরিচিতদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করে। সেই নতুন সিমটিও মাঝে বন্ধ করে দিয়েছিল তাপস। বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলটি ফের চালু করায় পুলিশ জানতে পারে তার অবস্থান। দেখা যায় ক্রমশ এগোচ্ছে সিমটি। তখনই খবর দেওয়া হয় বামনগাছির পুলিশকে। তারপর বামনগাছি চৌমাথায় কলকাতামুখী একটি গাড়ি থেকে তাকে বিল্লু ঘড়ুই নামে এক সাগরেদ সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত তাপস মল্লিককে গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন মৃত ছাত্র কৌশিক পুরকাইতের পরিবার। তারপরই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাপসকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।