প্রাণের বন্ধুকে সেই বাইক দিয়ে পাঠাত নিজের স্ত্রীকে কোথাও একটু ঘুরিয়ে আনার জন্য। সরল বিশ্বাসে বন্ধুকে বলত একা থাকা তার স্ত্রীকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই বন্ধুর সঙ্গেই যে তার স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হবে তা দুঃস্বপ্নেও কখনও ভাবেনি বছর ২৬-এর যুবক আলম হক। আর যখন জানতে পারল যে তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত তার ঘনিষ্ঠতম বন্ধুর সঙ্গে, একবারে খুন করে বন্ধুর দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলল আলম। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির দোমহনী এলাকায়।
সূত্রের খবর, আলমের সঙ্গে রিনার বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। আলম তার বন্ধু রবিউল হককে এতটাই বিশ্বাস করত যে রিনার একাকীত্ব দূর করতে রবিউলকে সবসময় এগিয়ে দিত। সম্প্রতি আলমের মনে সন্দেহ জাগে রিনা ও রবিউলের সম্পর্ক নিয়ে। চরমে ওঠে অশান্তি। রিনা ও রবিউলের পরিবার একসঙ্গে বসে ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করে। রিনা ও রবিউলের সম্পর্কে সাময়িক ছেদ পড়ে। কিন্তু এতেও মনের ক্ষোভ মেটেনি আলমের। সে তার এক বন্ধু প্রসেনজিৎ দাসকে সঙ্গে নিয়ে আলমকে খুন করে বলে অভিযোগ। দেহ পুঁতে দেওয়া হয় বসুন্ধরা চা বাগানের মাটিতে। পরে চা বাগানের শ্রমিকদের নজরে পড়ে বাগানের একটি জায়গার মাটি খোঁড়া। পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে রবিউলের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ রিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশ সূত্রের খবর, রিনা স্বীকার করেছে যে তার সঙ্গে রবিউলের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। রবিউল কয়েকদিন নিখোঁজ থাকায় রিনাই তার বাড়িতে জানায় যে হয়ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেই সূত্রে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে রবিউলের পরিবার। আলম হক ও প্রসেনজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।