রাত থেকে অসুস্থ ভাইঝি। অভিযোগ, তবু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হননি কাকা। কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল বিহারের এক যুবতীর। হাওড়ার বেলুড়ে যুবতীর এহেন রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রতিবেশিদের অভিযোগ পেয়ে সন্দেহভাজন কাকা আনন্দ কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত যুবতী উর্মিলা কুমারী বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। সম্পর্কে উর্মিলা তাঁর ভাইঝি হয় বলে পুলিশকে বয়ান দিয়েছেন অভিযুক্ত কাকা।
জেরায় তিনি জানিয়েছেন, ভাইঝি উর্মিলা গত ২৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ঘুরতে আসেন। কাকা আনন্দ কুমারের আবাসনেই তিনি থাকতেন। আনন্দের দাবি, গত বুধবার রাতে আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয় উর্মিলার। স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে এসে খাইয়েও কোনও লাভ হয়নি। বরং উর্মিলার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে।
ধৃতের এই বয়ানেই খটকা তৈরি হয় প্রতিবেশিদের মধ্যে। চিকিৎসক বা নিকটবর্তী রেল হাসপাতালে তো ভাইঝিকে নিয়ে যেতে পারতেন পেশায় রেলকর্মী আনন্দ কুমার? তা না করে সারারাত কেন ঘরের ভিতরে মরণাপন্ন ভাইঝিকে তিনি ফেলে রাখলেন? কেনই বা তিনি উর্মিলার মৃত্যুর পর প্রতিবেশিদের খবর দিলেন, আগে কেন নয়? এই প্রশ্নই তাঁদের মনে সন্দেহ তৈরি করে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।