বর্ষবরণের রাতে বন্ধুকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল আর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত। পুলিশ তাকে খুঁজছে। উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার।
বর্ষবরণের রাত বলে কথা। পার্টি হবে না তা কি হয়। দীর্ঘদিনের বন্ধুর আমন্ত্রণ তাই ফেলতে পারেননি রাজেশ বোস ওরফে বাপ্পা। আগরপাড়ার বাসিন্দা রাজেশ পেশায় একজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। গত রবিবার রাজেশ গিয়ে পৌঁছন বন্ধু শান্তনু রায়চৌধুরীর প্রফুল্লনগরের বাড়িতে। বাড়ির ছাদে বসানো হয় মদের আসর। পরে ফোন করে ডেকে আনা হয় পুত্রসহ রাজেশের স্ত্রী পিয়ালি দেবীকে। তখনও পর্যন্ত রাজেশ সম্ভবত বুঝতে পারেননি যে ২০১৮-র সকাল তাঁর আর দেখা হবে না। ২ বন্ধু ছাদে মদ্যপান করছিলেন। আর তাঁদের পরিবার ছিল ঘরে।
অভিযোগ, বন্ধুর গুলিতে মদের আসরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রাজেশ। গুলির আওয়াজ পেয়ে ছাদে ছুটে যান পিয়ালি দেবী ও তাঁর ছেলে। স্বামীর মাথার মাঝখানে গুলি বিঁধে থাকতে দেখেন তিনি। এমনটাই দাবি মৃতের স্ত্রীর। ততক্ষণে অভিযুক্ত শান্তনু ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিয়েছে। সাথে সাথে গুলিবিদ্ধ রাজেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাজেশকে খুনের পিছনে বচসার জের বা প্রণয়ঘটিত কারণ থেকে থাকতে পারে। অভিযুক্ত শান্তনুর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।