দুষ্কৃতিদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন হাওড়ার শ্যামপুর থানার ওসি সুমন দাস। দুষ্কৃতিদের রোষের হাত থেকে বাদ যাননি থানার আরও ৭ পুলিশকর্মীও। তবে সুমনবাবুর আঘাত সবচেয়ে গুরুতর। বাঁশ দিয়ে তাঁর মাথা সহ দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁর পরিবারকে জানিয়েছেন, সুমনবাবুর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে আপাতত কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তৈর হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার মধ্যরাতে। একটি জমি বিবাদে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে থানার কয়েকজন পুলিশকর্মীকে নিয়ে শ্যামপুরের গড়চুমুক এলাকায় হাজির হন স্থানীয় থানার ওসি সুমন দাস। রাত তখন গভীর। অভিযোগ সেই সময় আচমকাই তাঁকে ধাওয়া করে মারমুখী জনা বিশেক দুষ্কৃতি। বেগতিক বুঝে ছুটতে শুরু করেন সুমনবাবু সহ পুলিশ কর্মীরা। একটি পুকুরের ধারে সুমনবাবুকে ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতিরা। সেখানেই মোটা বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক প্রহার করা হয়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত ওসি। দুষ্কৃতিদের হাতে মার খান থানার অন্য পুলিশকর্মীরাও।
দুষ্কৃতিরা এরপর চম্পট দেয়। সুমনবাবুকে রাতেই কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুষ্কৃতিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে হাজির হন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থমথম করছে গোটা এলাকা।